মা’মলা প্রত্যাহার না করলে ক’ঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি হিন্দু জাগরণ মঞ্চের

চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা আগামী সোমবারের (৪ নভেম্বর) মধ্যে প্রত্যাহার না হলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন চেরাগি পাহাড় মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সমাবেশ ঘিরে চেরাগি পাহাড় মোড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‌্যাব।

এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) দেশের ৬৪ জেলায় সমাবেশ করার পাশাপাশি রবিবার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে সনাতনী সমাজ বাংলাদেশের সমন্বয়ক স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘অনেকে বলছে, হিন্দুরা প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়ার দালালি করছে। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। ক্ষমতায় আসার জন্য ইতিমধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়া, আমেরিকা ঘুরে এসেছে সমর্থনের জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছি মামলা প্রত্যাহারের। এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আগামীকাল (শুক্রবার) বিকালে ৬৪ জেলায় সমাবেশ হবে। চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করবো। আগামী সোমবারের মধ্যে করা মামলা তুলে নেওয়া না হলে এবং এই মামলা নিয়ে জলঘোলা কেউ করতে চাইলে, আমরা বৃহৎ কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবো।’

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সনাতন সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবি আদায়ের জন্য চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে বিশাল সমাবেশে করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।

সমাবেশ শেষে লোকজন মিছিল সহকারে চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ শীর্ষে থাকা জাতীয় পতাকার ওপর হিন্দুধর্মের ‘আমি সনাতনী’ লেখা গেরুয়া রঙের পতাকা ওড়ানো হয়। পরে মিছিলটি সিটি কলেজের রোড হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে নিউ মার্কেট চত্বরে গেরুয়া পতাকার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ভাইরাল হয়। চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এতে জাতীয় পতাকা আইন ১৯৭২-এর ৩ এবং ২০১০-এর ২০ নং ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে (৩৮) প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে একটি মামলা করা হয়।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার উত্তর মোহরা এলাকার ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করে।

Leave a Comment