আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে তাঁর দুর্নীতি সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ওই সময়ে মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর দুর্নীতি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। সেটি অভিযোগ হিসেবে আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের বিশেষ তদন্ত শাখার মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে চলাচলের জন্য ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এই অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। তিনি কোন স্থানে লুকিয়ে ছিলেন, সেটা সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার কেউ অবগত ছিলেন না। এক পর্যায়ে তিনি দেশত্যাগ করেন।
সরকারের অন্য একটি সূত্র বলছে, তিনি দেশে পালিয়ে ছিলেন, নাকি আগেই বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তার কোনো প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।