আগামী দুই একদিনের মধ্যেই সুদ হার বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানান তিনি।
যখন এক যুগের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে, সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। ঠিক তখনই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বাড়াতে চলেছে সুদের হার। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকি চ্যানেল ২৪ কে জানান, বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নীতি সুদ হার বাড়াচ্ছিল এবং গত সরকরও বাড়িয়েছিল। কিন্তু তার প্রভাব আমরা অর্থনীতিতে লক্ষ্য করিনি। কারণ, আমরা সংকোচনমূলক অর্থনীতির কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে এটি সংকোচনমূলক না। বরং প্রসারণের ব্যবস্থা করে। এজন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না।
তিনি আরও জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রেণের জন্যেই এমন একটি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অথচ এটির কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব নাও ফেলতে পারে। তবে যখন গ্লোবাল সুদ হার বেশি হয়, তখন বিদেশি উদ্যোক্তরা আগ্রহী হয় বিনিয়োগ করতে। যার ফলে টাকার মান ধরে রাখা সম্ভব হবে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন কিনা, প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সুদের হার বেড়ে গেলে পিছিয়ে পড়বেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে।