বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশ থেকে আট ব্যাংকের মাধ্যমে প্রচুর টাকা পাচার হয়েছে। এতে এসব ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারল্য পুরো সাপোর্ট দিতে হলে ২ লাখ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপাতত টাকা ছাপিয়ে দেবে না। কেননা টাকা ছাপালে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতি বহুগুণে বেড়ে যাবে। বুধবার (৪ আগস্ট) ব্যাংকার্স সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, আট ব্যাংক থেকে নানা উপায়ে টাকা বের করে লুট করা হয়েছে। বেশি সুদের আশায় জেনেশুনেই এসব ব্যাংকে টাকা রেখেছেন আমানতকারীরা। তবে আমানতকারীদের স্বার্থ দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। লাইন ধরে সবাই যেন এসব ব্যাংকে না যান।
তিনি বলেন, নতুন করে টাকা ছাপিয়ে আর কোনো ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দেয়া হবে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে আন্তঃব্যাংক ধারের মাধ্যমে এসব ব্যাংক টাকা পাবে। সেখান থেকে অল্প-অল্প করে গ্রাহকদের ফেরত দেবে। এছাড়া গ্রাহকদের দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি ও পাচার করা অর্থ ফেরত এনে টাকা ফেরত দেয়া হবে। পাচার অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমানতকারীদের অনুরোধ করব, একসঙ্গে টাকা উত্তোলনের জন্য লাইন ধরবেন না। পারিবারিক প্রয়োজন মেটাতে যেটুকু প্রয়োজন উত্তোলন করুন। আমাদের কিছুটা সময় দেন। আমরা আশা করি ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াবে। একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে, এই ৮টা ব্যাংকের কারণে পুরো ব্যাংকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। শিগগিরই এ খাত ঘুরে দাঁড়াবে।