ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদ পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার পর বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে “ঢাকা টু আখাউড়া লং মার্চ” কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচি আগামী বুধবার শুরু হবে। আখাউড়া সীমান্তে একটি সমাবেশের মাধ্যমে এটি শেষ হবে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল যৌথভাবে এই কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
শনিবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী এবং ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির শুরু হবে ঢাকার নয়াপল্টন থেকে। সেখান থেকে গাড়ি বহর নিয়ে নেতাকর্মীরা আখাউড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। পথে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। আখাউড়ায় একটি সমাবেশ আয়োজন করা হবে, যেখানে নেতারা বক্তব্য দেবেন।
রোববার দুপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এর আগে নয়াপল্টনে একটি প্রতিবাদ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন এবং ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন।
পদযাত্রার আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বক্তব্য রাখেন। নেতাকর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই লং মার্চের মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বার্তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি দেশের জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির তিন সংগঠনের এ লং মার্চ রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বিস্তারিতভাবে ঘোষণা করা হবে।