সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মেটার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার মেটার মানবাধিকার নীতি পরিচালক মিরান্ডা সিসন্সের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ব্যাপক হারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চলছে এবং আমরা এর ভুক্তভোগী। কিছু দেশ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা।”
মেটার পরিচালক সিসন্স এই বৈঠকে মেটার মানবাধিকার নীতির বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সে জন্য আমরা সর্বদা সতর্ক থাকি।”
প্রধান উপদেষ্টা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ফেসবুকের কারণে প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ফেসবুককে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করবে।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ও নেপালে মেটার পাবলিক পলিসি প্রধান রুজান সারোয়ার, মেটার অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ এবং মেটার এশিয়া-প্যাসিফিকের মিসইনফর্মেশন প্রধান অ্যালিস বুদিশাত্রিজো।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।