ফুলেল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতি স্মরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। সকাল থেকেই সর্বস্তরের জনতার ঢল নেমেছে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ।
শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। এ সময় সেখানে কেউ কেউ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকছেন। আবার অনেককেই দেখা গেছে সুরা ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করতে।
এর আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢল নামতে শুরু করে সাধারণ মানুষের। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিভিন্ন দলীয় ও সংগঠনের ব্যানারে দলবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ। বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোও আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।