দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এটিসহ ভোজ্যতেল, ডাল, সার ও এলএনজি ক্রয়সংক্রান্ত আরও কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে এ চাল কেনা হবে। প্রতি টন ৪৫৬ দশমিক ৬৭ ইউএস ডলার হিসাবে এ চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল এগ্রি কমোডিটিজ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
তাছাড়া গত ৬ নভেম্বর দেশে খাদ্যশস্যের মজুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান-চাল সংগ্রহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, সরকারি খাতে এই অর্থবছরে মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চাল, ডাল, সয়াবিন তেল ও সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সয়াবিন হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে। রোজা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য যেমন– চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনির সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বাজার আরও একটু সহনীয় হয়। তবে এ জন্য সময় লাগবে। কারণ এগুলোর বেশির ভাগ আমদানি করতে হয়।