এক ওভারেই দুই ব্যাটারকে গ্রিনরুমে ফেরালেন তাইজুল ইসলাম। টোনি ডি জোর্জির পর ম্যাথু ব্রিটজকেও শিকার বানালেন। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন টাইগার এই স্পিনার। এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এই কীর্তি ছিল কেবল সাকিব আল হাসানের।
ঢাকায় আয়োজিত টেস্টে সাকিব না থাকায় স্পিন বিভাগে মূল দায়িত্বটা তাইজুলের ওপরই ছিল। টেস্ট শুরুর আগে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে ৪ উইকেট দরকার ছিল তার। ব্রিটজকে সাজঘরে পাঠিয়েই সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে তার।
অবশ্য এরই মধ্যে আরও একটি উইকেট দখলে নিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূর্ণ করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ১৩ তম বারের মতো এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন এই অফস্পিনার। এ নিয়ে তার উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ২০১।
এ ছাড়া সাকিবের দখলে আছে ২৪৬টি উইকেট। সব ঠিকঠাক থাকলে ঢাকা টেস্ট দিয়েই বনেদি এই ফরম্যাটকে বিদায় বলার কথা ছিল টাইগার এই অলরাউন্ডারের। সে হিসেবে কার্যত সাকিবের সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারে ইতি পড়ে গেছে! কানপুরেই বিদায়ী টেস্ট খেলে ফেলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে তাইজুলের।
অবশ্য অন্য আরেকটা রেকর্ডে দ্রুতই সতীর্থকে ছাড়ানোর সুযোগ আছে তাইজুলের। সাকিবকে (১৬৩) ছাড়িয়ে বাংলাদেশের মাটিতে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে আর মাত্র ২ উইকেট দরকার তাইজুলের (১৬২)। তবে এরই মধ্যে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে গেছেন এই অফ-স্পিনার।
টেস্টে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন আরেক স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮৩টি উইকেট আছে তার দখলে।
প্রসঙ্গত, মিরপুর টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে ১০৬ রানেই থেমে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখার কাজটা ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন তাইজুলরা। যদিও প্রোটিয়া বাহিনী এরই মধ্যে লিড নিয়ে ফেলেছে, তবে ১০৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। এর মধ্যে ৫ উইকেটই গেছে তাইজুলের পকেটে।