শোকের ছায়া, মারা গেলেন বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট-বল জেতা সেই খেলোয়াড়

১৯৯০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা, ইতালির সাবেক স্ট্রাইকার সালভাতোর স্কিলাচ্চি মারা গেছেন। বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। বুধবার পালের্মোর ‘সিভিকো’ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ইতালির ফুটবল ক্লাব ইন্টার মিলান ও ‍জুভেন্টাস ‘টেটো’ খ্যাত কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অন্ত্রের ক্যান্সারে ভুগে মারা গেছেন সাবেক স্ট্রাইকার।

১৯৯০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ গোল করেছিলেন স্কিলাচ্চি। ঘরের মাঠে আসরে গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল জিতেছিলেন। তার স্মরণীয় পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইতালি। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায়। ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পশ্চিম জার্মানি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আসর শেষ করে ইতালি।

১৯৮২ সালে মেসিনার পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু স্কিলাচ্চির। সাত মৌসুম কাটিয়ে ১৯৮৯ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেন। তুরিনের বুড়িদের হয়ে তিন মৌসুম খেলে ১৯৯২ সালে ইন্টার মিলানে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে জাপানের জে১ লিগের দল জুবিলো আইওয়াতার হয়ে দুবছর খেলে ১৯৯৬ সালে অবসর নেন।

ক্লাব ফুটবলে সবমিলিয়ে ৩৮৪ ম্যাচ খেলেছেন। ১৫৯ গোলের পাশাপাশি গোল করিয়েছেন ১৯টি। জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানের হয়ে উয়েফা কাপ (ইউরোপা লিগ) জিতেছেন। জুভেন্টাসের হয়ে ইতালিয়ান কাপ জিতেছেন।

১৯৯০ সালে ২৫ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তার। সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৭টি। যার ৬টিই এসেছিল বিশ্বকাপের সাত ম্যাচে।

স্কিলাচ্চিকে শ্রদ্ধা জানাতে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত সকল ম্যাচ শুরুর আগে ‘এক মিনিট নীরবতা’ পালন করা হবে, জানিয়েছে ইতালির ফুটবল ফেডারেশন ‘এফআইজিসি’। সংস্থাটির প্রধান গ্যাব্রিয়েল গ্রাভিনা বলেছেন, ‘তার গোল উদযাপন, যা সকলে আনন্দের কারণ হয়ে উঠেছিল। তা ইতালিয়ান ফুটবল ঐতিহ্যের চিরকালীন অংশ হয়ে থাকবে।’

Leave a Comment