বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীকে ‘বিদ্বেষপরায়ণ’ ও ‘বাংলাদেশবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি রোববার ঢাকা শহরের নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিশ্বের সামনে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। পদযাত্রার মাধ্যমে বিএনপির নেতা রিজভী এই অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান এবং ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে যাওয়ার জন্য পদযাত্রার সূচনা করেন। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রা আটকে দিলে একটি প্রতিনিধিদল হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।
রিজভী আরও বলেন, “ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের মানুষের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে, এবং তারা বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের মতো দেশগুলিও ভারতকে একে একে প্রত্যাখ্যান করেছে।”
তিনি ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “ভারত নিজের দেশে ধর্মীয় সহিংসতা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না, অথচ বাংলাদেশে এসব বিষয়ে মিথ্যাচার করছে।”
রিজভী বলেন, “ভারত থেকে ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ হলে বাংলাদেশের মানুষ আরো পরিশ্রম করে সেগুলো উৎপাদন করবে এবং এর ফলে বাংলাদেশ আরও স্বনির্ভর হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু তার পাশাপাশি প্রতিবাদীরা নিজেদের আত্মবিশ্বাসী এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
এদিনের কর্মসূচিতে যুব দলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, এবং ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।