বরিশাল জেলার গৌরনদী উজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের আইবিআরপি ব্রিজটি ৪ বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোহিনুর এন্টার প্রাইজ। এছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে সরকারি খাস জমি রেখে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে ব্রিজ নির্মাণ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোহিনুর এন্টার প্রাইজ গৌরনদী উপজেলায় তাদের অধিনে আরও ১৭টি ব্রিজ র্নিমাণের কাজ চলমান। যার একটিও র্নিধারিত সময় কাজ শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার এই প্রতিষ্ঠা
২০২১-২২ সালে আইবিআরপি এই ব্রিজটি কাজ শুরু করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ। তরিগরি করে ২০২৪ এর ডিসেম্বর মাসে ব্রিজটি’র কাজ শেষ করতে গিয়ে সংযোগ বাইপাস সড়কের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে এফরোজ সড়করে কাজে লাগাচ্ছে। এতে করে গত এক সপ্তাহ ধরে বাইপাস সড়ক না থাকায় খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী ও এলাকাবাসীর চলাফেরাসহ পরেছেন নানান ভোগান্তিতে। ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় সংযোগ সড়ক দিয়ে কোনভাবে চলাচল করতে পারত ওই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের। এখন না আছে বাইপাস সড়ক, না আছে এফরোজ সড়ক। এতে করে ব্রিজটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ৩ চাকার থ্রি হুলারসহ অন্য যানবাহন চলাচলে হচ্ছে মহাভোগান্তি।
এছাড়া ১৬ মিটারের এই ব্রিজটি পাড়া পাড় হতে হলে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিতে হয় গন্তব্যে পৌঁছাতে। ডাক্তারের কাছে যাওয়া এক নারী অভিযোগ করে বলেন, আমরা জানি যে ব্রিজটি কাজ চলমান থাকায় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করা যায়। কিন্ত এখন যে অবস্থা তাতে চলাচল করতে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। ৩ চাকার ভ্যানগাড়ী না পেয়ে হেটে যেতে হচ্ছে। আরও স্থানিয়দের অভিযোগ রয়েছে এই ব্রিজটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা গজাই সরদারের ছেলে ৬০ বছর বয়সী সিরজ সরদার জানান, সরকারি খাস জমি রেখে। এই ব্রিজটির আমাদের প্রায় দেড়শতক জমি’র উপর নির্মিত হয়েছে।
ব্রিজ নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কহিনুর এন্টার প্রাইজের প্রকল্প পরিচালক মো. কাইউম খান জানান, তারা ব্রিজ র্নিমাণে কাজ শেষ হলে ভোগান্তি যা আছে তা আর থাকবে না।
গৌরনদী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী আঃ ছালাম জানান, যে খাস জমি বা ব্যক্তি মালিকানা জমিতে ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে তা আমার জানা নাই। তবে গত ২/৩ বছরে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করে নাই।
নটি।